কক্সবাজার শহর হইতে ২৫ কিলোমিটার এবং উখিয়া থেকে ১৩ কিলোমিটার, যে কোন গাড়ী নিয়ে য়াওয়া যায়।
উখিয়া উপজেলা হতে সিএনজি এবং রিক্সা নিয়ে যাওয়া যায়। উখিয়া ১৩ কিলোমিটার।
0
উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাটুয়ারটেক সৈকতের নিকটে নিদানিয়া পাহাড়ের অভ্যন্তরে সুড়ঙ্গ গর্তের সমাহার এ কানারাজার গুহা। সুড়ঙ্গগুলোর মুখ ১২র্ x ১২র্। প্রায় চৌদ্দ ফুট উঁচু ও দশ ফুট বেড় সম্পন্ন সুড়ঙ্গটি প্রবেশ মুখ থেকে সোজা ১২০-১৫০ ফুট দূরত্বের দু’দিকে দুটো দরজা রয়েছে এবং দরজার দু’দিকেই একটি করে দু’টি বিরাট কক্ষ রয়েছে। একদা টেকনাফ-উখিয়া এলাকাটি রাখাইন শাসনাধীনে ছিল। এক রাখাইনরাজ (এক চোখ অন্ধ) নিজের আত্মরক্ষার্থে এখানে একটি গুহা নির্মাণ করেছিলেন বলে কথিত আছে। তবে এ ধরনের কোন তথ্য রাখাইন রাজোওয়ান সূত্রে আমরা পাই না। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা করা হলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। গুহার অভ্যন্তরে প্রচুর ধন রত্ন আছে বলে স্থানীয়রা এ গুহাকে অাঁধার মানিক নামেও সম্বোধন করে থাকে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দিকে সর্বপ্রথম রাশিয়ান তাল-গ্যাস অনুসন্ধানী দল এ গুহাটি আবিস্কার করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রেলিয়ার এক বিশেষজ্ঞ দল এ অঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালিয়েছিল। তবে কোন তেল-গ্যাস পাওয়া যায়নি। বর্তমানে উন্মুক্ত মিডিয়ার বদৌলতে অনেকে এ গুহার পরিস্থিতি সহজে মিনি পর্দায় অবলোকন করতে পারছেন। সুড়ঙ্গ পথে শুষ্ক মৌসুমে একটি ট্রাক অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে তবে বর্ষা মৌসুমে বিষাক্ত সাপ আর নাম না জানা পাখির ভয়তো থাকবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস