বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম বদ্বীপ। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ স্বভাবতই অন্যতম দূর্যোগ প্রবণ দেশ হিসাবে পরিগণিত। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নানাবিধ প্রাকৃতিক দূর্যোগ এদেশের জন্য একটি পরিচিত দৃশ্যপট। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে দূর্যোগ একটি বড় অমত্মরায়। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দূর্যোগ সমূহের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা, খরা, নদী-ভাঙ্গন, ভূমিধ্বস, ভূমিকম্প ইত্যাদি অন্যতম। প্রাকৃতিক দূর্যোগকে সম্পূর্ণভাবে রোধ করা মানুষের হয়তো সম্ভব নয়। দূর্যোগের দীর্ঘদিনের ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সার্বিক সচেতনতা করা গেলে দূর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমে যেতে পারে। এ বিষয়কে বিবেচনায় রেখে প্রস্ত্ততি, ঝুঁকিহ্রাস, জরুরী সাড়া প্রদানসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রণীত আইন ও স্থা্য়ী আদেশাবলীর আলোকে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপত্মর Comprehensive Disaster Management Planপ্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেএ কটি মাইলফলক হিসাবে কাজ করবে।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাই নানারকম কোন না কোন দূর্যোগের দ্বারা আক্রামত্ম হয়। তবে তুলনামূলকভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহ বেশী দূর্যোগের দ্বারা আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের ১৯টি উপকূলবর্তী জেলার মধ্যে ককসবাজার অন্যতম। ককসবাজার জেলার ৮টি উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় উখিয়া উপজেলা একটি দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত পাহাড় সমেত এই ভূখন্ডে পাহাড়ী ঢলে আকষ্মিক বন্যা, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি অন্যতম প্রাকৃতিক দূর্যোগ যা এতদ্বাঞ্চলের মানুষের জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে। এমতাবস্থায় দূর্যোগের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে সামনে রেখে এই সমন্বিত পরিকল্পনা প্রস্ত্তত করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস